বড় রানের টার্গেটে বাংলাদেশের হারটা যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজুড়ে বেশিরভাগ ব্যাটারই ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ভারত ম্যাচেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
১৯৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। কারণ ওপেনারদের ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে, বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমেছে বাংলাদেশ।
লিটন দাস বরাবরের মতোই ব্যর্থ আর তানজীদ তামিমের ব্যাটিংটাও টাইগার সমর্থকদের একটু বেশিই হতাশ করবে। দুইশোর কাছাকাছি টার্গেটের দিনে ৩১ বলে ২৯ রান করেছেন এই ওপেনার। এমন ম্যাচে যা কিনা বড্ড বেমানান।
টুর্নামেন্টজুড়ে ধারাবাহিক থাকা ভারতের বিপক্ষে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। সেমির স্বপ্ন বাঁচানোর ম্যাচে দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিবও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গত ম্যাচের মতো চেষ্টা করেছেন। তবে ৩২ বলে ৪০ এর বেশি করতে পারেননি।
তাসকিনের বদলি জাকের আলী অনিক রানের খাতা খোলা মাত্রই বিদায় নিয়েছেন। হার যখন প্রায় নিশ্চিত তখন রিশাদের তিনটি ছক্কা আর একটি চারের বিনিময়ে ২৪ রানের ইনিংস হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে মাত্র।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক পান্ডিয়ার ফিফটি আর কোহলি, শিবম দুবে, রিশভ পন্তদের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসের বিনিময়ে ৫ উইকেটে ১৯৬ রানের পুঁজি পায় সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যা কিনা তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। আর এই হারে টাইগারদের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন প্রায় শেষই বলা যায়। অর্থাৎ সামনে আফগানদের সাথে পরবর্তী ম্যাচটা হাথুরু শিষ্যদের জন্য নিয়মরক্ষার।