দেড় যুগ পর সেরা আটে পৌঁছানো বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। যাদেরকে বিশ্ব আসরে কখনোই হারানো হয়নি টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দুই দলের দেখা হয়েছে পাঁচবার, প্রতিবারই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে অজিরা।
বিশ্বকাপ যাত্রার আগে নানামুখী সংকটে হতাশায় নিমজ্জিত বাংলাদেশ দল এখন অনেকটাই উজ্জীবিত। ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে প্রথমবার তিনটা জয়ের স্বাদ পেয়েছে দল। কঠিন গ্রুপের বাধা ডিঙিয়ে সেরা আটে জায়গা করে নিতে কম কাঠখড় পোহাতে হয়নি মোস্তাফিজ-তানজিমদের।
তবে যুক্তরাষ্ট্র আর কিংসটাউনের উইকেট কম চ্যালেঞ্জ জানায়নি টাইগারদের। সেসব উইকেটে ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা হাথুরুসিংহের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে নিশ্চিতভাবে।
তবে অ্যান্টিগার উইকেটে যে রান হবে তা অনেকটাই নিশ্চিত। সেখানে ব্যাট চালাতে কতটুকু প্রস্তুত বাংলাদেশের ব্যাটাররা? আসরে ৪টি ম্যাচ খেলেও সবমিলিয়ে শতরান ছুঁতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার।
একমাত্র ফিফটি এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। সেরা স্ট্রাইক রেট তাওহীদ হৃদয়ের ১২৫। বিপরীতে অজিদের ৩ জন ব্যাটার পেরিয়েছেন শতরানের কোটা। ৬ ব্যাটসম্যানের ৪ জনেরই স্ট্রাইক রেট ১৪০ এর ওপরে। এদের মধ্যে মার্কাস স্টয়নিস খেলছেন ১৯০ এরও বেশি স্ট্রাইক রেটে!
তবে বাংলাদেশের অ্যাটাকে আছে আসরের সবচেয়ে কম খরুচে বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। তানজিম সাকিব, তাসকিনরাও আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্রেক-থ্রু দিচ্ছেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারলে, বোলাররা বাকি দায়িত্ব সামাল দিতে পারবেন বলেই আশা করা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার কেবিনেটে তিন ফরম্যাটে শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি। যদিও গেলবার টি-টোয়েন্টির শিরোপাটা নিয়ে গেছে ইংলিশরা। সেটি পুনরুদ্ধারের মিশনে এবার দুর্দান্ত শুরু করেছে স্টয়নিস, হেড, জাম্পারা। দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অজিদের কি প্রতিহত করতে পারবে বাংলাদেশ?