ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ক্রিকেটের বাজার বড় করতে টি-২০ বিশ্বকাপ!

ক্রিকেটের বাজার বড় করতেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরমেটের উদ্ভাবন হয়েছিল। যথারীতি এর প্রথম প্রচলনও ইংল্যান্ডে। সকাল থেকে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজ যৌথভাবে আয়োজন করেছে এবার।

ক্রিকেটের জনক দেশ ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ঘরোয়া আসর কাউন্টি ক্রিকেট। এই টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্টরাই খেলাটির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বাড়াতে ২০০৩ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট শুরুর উদ্যোগ নেয়। তার দুই বছর পর ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটেও চালু হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেট।

বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। ক্রিকেটের ধুম-ধারাক্কা আসরের শুরু হয় ২০০৭ সালে। তারপর থেকে মাঠে গড়িয়েছে আটটি টুর্নামেন্ট। কুঁড়ি ওভারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল ইংল্যান্ড আর উইন্ডিজ। সমান দুইবার করে শিরোপা উল্লাস করেছে দল দুটি। ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া ট্রফি জিতেছে একবার।

নিয়মানুযায়ী শুরুর অপেক্ষায় আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে শুরুর আগেই অন্যান্য সব আসরকে ছাপিয়ে গেছে এবারের বিশ্বকাপ। কারণ ২০ দল নিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর। যা আগে কখনও হয়নি। ক্রিকেটের প্রসার বাড়াতে উইন্ডিজের পাশাপাশি আইসিসি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ করে দিয়েছে বেসবল-বাস্কেটবলের দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তো খেলবেই তাদের সঙ্গে প্রথমবার টি-টোয়েটির বিশ্বআসরে অংশ নেবে কানাডা আর উগান্ডা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ হবে ৫৫ টি। যা আইসিসির যেকোনো আসরে এবারই প্রথম। এর মধ্যে ৩৯টি ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জে আর বাকি ১৬ ম্যাচ হবে মার্কিন মুল্লুকে। ডালাসে উদ্বোধনী লড়াইয়ে স্বাগতিকদের মোকাবিলা করবে প্রতিবেশি দেশ কানাডা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচটা যে এ দুটি দলই খেলেছিল, তা হয়তো অনেকেরই অজানা।

দেশ দুটিতে ক্রিকেট জনপ্রিয় না হলেও চিন্তাভাবনা করেই সূচিতে প্রথম ম্যাচ দু'দলের রেখেছে আইসিসি। বলা যেতে পারে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটাই একটা ইতিহাস।

এসএস