ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিসিবির ব্যয় সাত কোটি টাকা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যয় প্রায় ৭ কোটি টাকা। কোটি টাকা বিনিয়োগে বোর্ড চিন্তিত না হলেও, সিরিজে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে নিয়ে বিসিবির বেশ আক্ষেপ রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের সুফল বাংলাদেশ পায়নি।

বরং সার্বিকভাবে লাভবান হয়েছে অতিথি দল জিম্বাবুয়ে। কারণ তাদের ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্স করে দলে নিজেদের অবস্থা শক্ত করেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সূচি অনুয়ায়ী, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট ছিল। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখে দুই বোর্ডের সমঝোতায় পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ করা হয়।

এই সিরিজ আয়োজনে ক্রিকেট বোর্ডের বিশাল অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়েছে। এই যেমন জিম্বাবুয়ে দলের আন্তর্জাতিক বিমানে আগমন, অভ্যন্তরীণ বিমান, টিম বাস, আবাসন, খাবার, দৈনিক ভাতা, নিরাপত্তা, নেট বোলার, বল বয় ও আম্পায়ার থেকে শুরু করে ডিআরএস; সবমিলিয়ে বোর্ডের অন্তত ৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের সুবিধা কী ক্রিকেট বোর্ড আদৌও পেয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ নয়। বরং প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে লাভবান হয়েছে। কেননা, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া দলটির হারানোর কিছুই ছিলো না। তাই তাদের উঠতি ক্রিকেটার জনাথন ক্যাম্পেল, ব্রেনেট, মারুমানিরা পারফরম্যান্স করে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যতের আগাম বার্তা দিয়ে রেখেছে। সেক্ষেত্রে বিসিবি এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কোটি টাকার বিনিয়োগের যোগফল কী মেলাতে পেরেছে?

সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, ‘জিম্বাবুয়েকে ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরি করতে হচ্ছে। সে জায়গা থেকে এটি জিম্বাবুয়ের শিক্ষা সফর ছিলো। ওরা এখান থেকে লাভ করে গেছে।’

ক্রিকেট বোর্ডের অবশ্য আয়ের অনেক উৎস আছে। টিভি স্বত্ব, ডিজিটাল, ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপন কিংবা কিট স্পন্সর ছাড়াও নানা খাত থেকে আয় করে থাকে বিসিবি। যে কারণে ৭ কোটি টাকা জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিনিয়োগের পরও খুব একটা মাথাব্যথ্যা নেই বিসিবির।

বিসিবির পরিচালক আকরাম খান বলেন, ‘টাকা নিয়ে তো আমাদের কোনো চিন্তা নেই। আমরা কিভাবে বিশ্বকাপে ভালো খেলবো, ক্রিকেটের কেমন উন্নতি হবে সেটা নিয়ে চিন্তা করছি।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে কোটি টাকা ব্যয়ে যেমন আদর্শ বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হয়নি। ঠিক তেমনই বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ডকে ভবিষ্যত সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও দূরদর্শী হতে হবে।