ক্রিকেট
এখন মাঠে
ক্রিকেট সংস্কৃতি বদলে দেয়ার প্রত্যয় সুজনের
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর এই মৌসুমে দল গড়তে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। অন্য ক্লাবগুলোর বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ থাকলেও আবাহনীর কোন ক্রিকেটারের নেই আর্থিক পাওনার অভিযোগ। এমন অবস্থায় আবাহনীর হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্লাব ক্রিকেটে উন্নত সুযোগ সুবিধা যোগ করে বদলে দিতে চান দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি।

খেলোয়াড়দের আর্থিক পাওনা যথা সময়ে দিয়েছে আকাশি নীলরা। যদিও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সংস্কৃতি এখনও গড়ে উঠেনি। বরং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষে বেশির ভাগ ক্লাবগুলোর দিকে অভিযোগের তীর থাকে বকেয়া পরিশোধ না করার। এবারেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

বেশিরভাগ ক্লাবের কাছে মোটা অংকের অর্থ এখনও বকেয়া ক্রিকেটারদের। তবে নতুন দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে আবাহনী লিমিটিড। অবশ্য এ জন্য কোচ সুজনের অবদানও আছে। কারণ এর আগে যখন তিনি প্রাইম ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন। তখনও বকেয়া পাওনা নিয়ে কোন অভিযোগ তোলেননি ক্রিকেটারররা।

বরং ডিপিএলে উন্নত টিম বাস, ট্রাভেল জার্সি, ব্যাগ থেকে শুরু করে আরও অনেক সুযোগ-সুবিধার নতুনত্ব যোগ করেছিলেন। সেই ধারায় আবাহনীতেও বজায় রাখেন সুজন। তাই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আর্থিক ব্যাপারটাই শুধু নয়। ক্লাব ক্রিকেটের সংস্কৃতির বদলে দেয়ার প্রত্যয় সাবেক এ অধিনায়কের।

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, 'আমরা ক্লাব ক্রিকেটের সংস্কৃতিটা পরিবর্তন করতে চাই। আমি এর জন্য বদ্ধপরিকর। টিম বাস ও ট্রাভেল জার্সি এগুলো কিন্তু আমার শুরু করা। এর আগে কোন দল এসব দিতো না। এখন সব দল দিচ্ছে।'

এ মৌসুমে দল গঠনে কোচ সুজন প্রায় ১০ কোটির বাজেট দিয়েছিলেন আবাহনীর টেবিলে। প্রাপ্ত সেই বাজেটে সব চেয়ে ব্যয়বহুল দল গড়েন সুজন। যার ফলে রেকর্ড ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে শিরোপা আবাহনীর ঘরে।

সুজন আরও বলেন, 'আমাকে যখন বাজেট পেশ করতে বলা হয়েছিল, তখন আমি প্রায় ১০ কোটি টাকার বাজেট পেশ করি। এটা অনেক বড় বাজেট ছিল। আমি খেলোয়াড়দের বলি তোমরা চিন্তা করো না। টাকা তোলার দায়িত্ব আমার।'

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ১২ দলের মধ্যে একমাত্র আবাহনী ছাড়া বাকি ১১টি ক্লাবের খেলোয়াড়দের বকেয়ার পারিশ্রমিকের অভিযোগ আছে।

এভিএস