ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

দল গঠনে হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন না লিপু

কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর স্বার্থের সংঘাত হতে পারে। এমন আশঙ্কা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। তবে দল গঠনে কেউ হস্তক্ষেপ করলে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লিপু।

এদিকে কোচ-নির্বাচকের রসায়ন ঠিক না থাকলে ক্রিকেটের জন্য বিপদই অপেক্ষা করছে। গত রোববার এমনটাই বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বনাশ করছেন বলে অভিযোগও করেন তিনি। তার স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে এবং দল গঠনে হস্তক্ষেপের কারণে প্রধান নির্বাচকের পদ ছাড়েন বলেও জানান তিনি।

সোমবার প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। পরদিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে তাকে প্রশ্ন করা হয়, হাথুরুসিংহকে কিভাবে সামলাবেন তিনি? যদিও কিছুটা কৌশলী উত্তর দিয়েছেন লিপু।

তিনি বলেন, ‘দল নির্বাচনে অবশ্যই কোচ, অধিনায়ক যুক্ত থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যে সিস্টেম আছে, আমরা সেটার মধ্যেই রাখার চেষ্টা করবো। আর বিশ্বাস করি, স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে, সেখানে কোন আনন্দ থাকে না। তাই আসা-যাওয়ার রাস্তা সবসময় খোলা আছে।’

হাথুরুসিংহের স্বেচ্ছাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। প্রথম দফায় দল সাফল্য পাওয়ায় সেসব নিয়ে চর্চা হয়েছে কম। তবে যেভাবে তিনি দায়িত্ব ছেড়েছিলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে অনেক। অথচ দ্বিতীয় মেয়াদে আবারও তাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি।

কিন্তু তার অধীনে এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে চরমভাবে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। বিশেষ করে, ভারত বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর হাথুরুসিংহের বিদায়ের সুর ওঠে। যদিও কোচিং প্যানেলের অন্য সবাই বিদায় নিলেও, হাথুরুসিংহে বহাল তবিয়তে থেকে যান। কিন্তু দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি যদি চলমান থাকে তার পরিণামই বা কি হবে? আর নির্বাচক-কোচ দ্বন্দ্বের প্রভাব কেমন হবে দেশের ক্রিকেটে?

সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, ‘হাথুরুসিংহে লিপু ভাই সম্পর্কে জানেন। আশা করা যায়, এই জুটিটা খারাপ হবে না। বুঝাপড়াও মোটামুটি ভালো থাকবে, আর বাইরে থেকেও খুব বেশি হস্তক্ষেপ হবে না বলেই মনে হচ্ছে।’

নতুন অধিনায়ক-নির্বাচক প্যানেলে স্বপ্ন বুনছে দেশের ক্রিকেট। কেবল ভিনদেশী হাথুরুসিংহে সেখানে বাগড়া না দিলেই হয়!