ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ভারতকে হারিয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। আসরের হট ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলার যুবারা।

যদিও, লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন ইনফর্ম ব্যাটার জিশান আলম। তিনে নামা রিজওয়ানও সুবিধা করতে পারেননি। ক্রিজে সেট হয়ে ১৩ রান করে উইকেট দেন তিওয়ারিকে। তার কিছু্ক্ষণ পরই টুর্নামেন্ট জুড়ে দাপুটে ব্যাট করা শিবলী রান আউটের শিকার। ৩৪ রানে ৩ ব্যাটার হারিয়ে তখন বিপাকে বাংলাদেশ।

এরপর হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিন। এ দু'জনের ব্যাটে চড়েই শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে বাংলাদেশ। তারা শুধু চাপ সামালই দেননি, গড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের জয়ের ভিত। আরিফুল আর আহরারের ১৩৮ রানের জুটিতে যুবাদের জয়ের পথটা একেবারে সহজ হয়ে যায়।

মাত্র ৬ রানের জন্য শতক মিস করেছেন আরিফুল। সমান রানের জন্য ফিফটি মিস করেছেন আহরার আমিনও। সেঞ্চুরি আর ফিফটি মিসের আক্ষেপটা নিশ্চয়ই তারা ভুলে যাবেন। কারণ বাংলাদেশের সামনে যে এশিয়া কাপ জয়ের হাতছানি।

এদিন, টস জিতে শুরুতেই ভারতীয় ব্যাটারদের চেপে ধরে টাইগার বোলিং ইউনিট। ভারতের দলীয় ৩ রানেই মারুফ মৃধার শিকার হন আদার্শ সিং। স্কোরবোর্ডে আর ৭ রান যোগ হতেই আরেক ওপেনার আরশিন কুলকারনিকে হারায় টিম ইন্ডিয়া।

এবারও স্পটলাইটে মারুফ মৃধা। খানিকবাদেই মারুফের তৃতীয় শিকার হন ভারতের অধিনায়ক উদয় সাহারান। ১৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।

পরে শচীন দাস আর প্রিয়ানশু মিলে চাপ সামলে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দলীয় ৩৬ রানেই শচীন দাসকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান বাংলাদেশের বর্ষণ।

পরের উইকেটেও বড় জুটি করতে পারেনি ভারতীয়রা। দলের রান যখন ৬১। তখনই উইকেটে সেট হওয়া প্রিয়ানশু হন বর্ষণের দ্বিতীয় শিকার। স্কোর শিটে কোনো রান জমা না হতেই রান আউট হন আভানিশ।

তারপরই মুশির খান আর অভিষেক মিলে সম্মানজনক সংগ্রহের পথ দেখাতে থাকেন। তাদের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক রাব্বি। আউট হওয়ার আগে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশির খান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় ভারতীয়রা। এদিন, মুশিরের পাশাপাশি ভারতের অভিষেকও ফিফটি পেয়েছেন। তবে, তাদের এ সংগ্রহ ফাইনালে উঠার জন্য যথেষ্ঠ ছিলো না।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।

 

এসএস