নার্ভাস ব্রেকডাউন-মেন্টাল আপসেট। আকবর আলীদের নাজুক ব্যাটিংয়ে অসহায়ত্ব, বিপরীতে রিপন মন্ডল-রাকিবদের বীরত্বগাঁথা। শিরোপার লড়াই থেকে প্রথম ইনিংসেই ছিটকে পড়ার দশা থেকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে ওঠা সাদ মাসুদের ব্যাট কিংবা মুকীমের ঘূর্ণিঝড়। প্রতিটি দৃশ্যের সাথে অব্যাহত পরিবর্তন। রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের ফাইনালে রোমাঞ্চ-হতাশার জুটিতে বিষম উত্তেজনার ভার। শেষ পর্যন্ত সেই ভারটা আর বইতে পারেনি বাংলাদেশ এ দল।
আরও পড়ুন:
আবদুল গাফফার সাকলাইনেরে উড়ন্ত থ্রোয়িংয়ে প্যাভিলিয়নে ইয়াছির খান। এরপর একে একে মোহাম্মদ ফাইক-গাজি ঘরিদের ফিরিয়েছেন মেহেরব-রাকিবুলরা। জিসান আলম ছক্কা হজমের পরের বলেই দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ফিরিয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মায়াজ সাদাকাতকে। ৭৫ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর সাদ মাসুদের পাল্টা আক্রমণ থামাতে রিপন মন্ডলের আবির্ভাবে পাকিস্তান অলআউট ১২৫ রানেই।
রান তাড়ায় ১৫ বলেই ২২ রান তোলে বাংলাদেশ। জিসানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাদ মাসুদ। হাবিবুর রহমানও ২৬ রান করে আউট হন। আর বিলাসী শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন মাহিদুল ইসলাম। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের অস্বস্তি বাড়ান অধিনায়ক আকবর আলী। ন্যাশনাল টিমের খেলোয়াড় ইয়াসির রাব্বী বাইশ গজে এখনো বড় নাজুক। ৪৪ রানে ৪ উইকেট পতনের পর ৫৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে আকবর আলীর দল।
৩০ বলে ৩৮ রানের সমীকরণের সামনে রেখে মেহেরবের এমন আত্মঘাতী পুলের ব্যাখ্যা দেয়া এক জুটিল ধাঁধাঁর মত। মুকীম ঝড়ে কুপোকাত বাংলাদেশকে যখন হারের শঙ্কা পেয়ে বসেছে তখন ব্যাট হাতেও পথ দেখান রাকিবুল। তিন তিনটি লাইফ পেলেও তীরে তরী ভেরাতে পারেনি রাকিবুল। অবিশ্বাস্যভাবে শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে সেই ভরসা যুগিয়েছেন রিপন মন্ডলরা।
তবে সুপার ওভারে সাকলাইনকে ব্যাটে নামানো কিংবা জিসানদের অপরিকল্পিত ব্যাটিংয়ে আর শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের।





