বিতর্ক আর সাকিব হাত ধরাধরি করে হেঁটেছেন বছরের পর বছর। তবে ক্রিকেটার সাকিবের হালখাতা পুরোটাই রঙিন।
ক্যারিয়ারজুড়ে বহু সমালোচক জুটিয়েছেন তিনি। তবে সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে তার মত আর কেউ কখনও আসেনি। ভবিষ্যতে কখন আসবেন সেটিও বলা মুশকিলই বটে।
ক্রিকেটে এখনও সেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারা দেশটার একজনই তিন ফরম্যাটে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন ইতিহাসের অংশ। তিনি সাকিব আল হাসানই। খাতা-কলমে যিনি সর্বকালের সেরাদেরই একজন।
সাকিবের ক্যারিয়ারের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক। টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি। খেলেছেন ৭০টি টেস্ট, ৫ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৪ হাজার ৬০০, বল হাতে নিয়েছেন ২৪২টি উইকেট।
আড়ইশ'র কাছাকাছি ওয়ানডেতে সাড়ে সাত হাজারের বেশি রান আর ৩ শতাধিক উইকেট আছে সাকিবের। টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা মলিন হলেও, আড়াই হাজার রান আর ১৪৯টি উইকেট আছে তার।
তবে চলতি বছর ব্যাটে-বলে একেবারেই মলিন ছিলেন সাকিব। এ বছর কোনো ওয়ানডে খেলেননি। টেস্ট খেলেছেন ৪টি। তাতে কোন সেঞ্চুরি এমনকি ফিফটিরও দেখা নেই। বল হাতেও ছুঁতে পারেননি ফাইফারের মাইল।
টি-টোয়েন্টিতেও ধূসর তার চলতি বছরের হিসাবনিকাশ। ১২ ম্যাচে ১৬৯ রান আর মাত্র ৯টা উইকেট তার ঝুলিতে। গড়, স্ট্রাইক রেইট কোনোটাই তার পক্ষে কথা বলছে না।
পরিসংখ্যানের পাশাপাশি সম্প্রতি শরীরটাও কথা বলছে না তার পক্ষে। ফলে কিছুটা মলিন মুখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের গান গাইছেন সাকিব।