টাইব্রেকারে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে ৩ থেকে ৪ বছর ধরে গোলরক্ষকদের মধ্যে লাইমলাইটে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সবশেষ কোপা আমেরিকাতেও তার বীরত্বে কোয়ার্টার ফাইনালের বৈতরণী পার হয় আর্জেন্টিনা। আসর শেষে সেরা গোলকিপারের খেতাবও জিতে নেন অ্যাস্টন ভিলার এই ফুটবলার।
এর আগে, কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বেও আলো কেড়ে নেন বাজপাখি খ্যাত মার্টিনেজ। বিশেষ করে ফাইনালে, তার নৈপুণ্যে ভর করে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে আলবিসিলেস্তরা। টাইব্রেকারের একের পর এক গোল আটকে সেবার সেরা গোলররক্ষক তো হয়েছেনই, জিতে নিয়েছেন বর্ষসেরা গোলকিপারের পুরস্কার। তাছাড়া ২০২১ কোপা আমেরিকা টাইটেল জেতাতেও মার্টিনেজের ভূমিকা ছিল।
ইংলিশ ক্লাবে খেলা এই ফুটবলার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার খোরাক হয়েছেন। তবে গোলরক্ষকদের বাজারদরের তালিকায় সেরা দশে তার ঠাঁই হয়নি। বর্তমান মার্কেট ভ্যালুতে যিনি শীর্ষে রয়েছেন, অনেকের কাছেই তিনি অচেনা হতে পারেন। স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ায় খেলা জর্জি মামারদাশভিলি ৪৫ মিলিয়ন বাজারদর নিয়ে এক নাম্বারে অবস্থান করছেন।
সমান বাজারদর নিয়ে পরের অবস্থানে পর্তুগিজ ফুটবলার দিওগো কস্তা। নিজ দেশের ক্লাব পোর্তোর গোলবার সামলানো কস্তা পর্তুগাল জাতীয় দলের একজন নিয়মিত সদস্য। সবশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন তিনি।
জনপ্রিয়তায় মামারদাশভিলি, কস্তার চেয়ে ঢের এগিয়ে ইতালিয়ান গোলরক্ষক ডোনারুম্মা। যদিও বাজারদর বিবেচনায় তাদের চেয়ে পিছিয়ে পিএসজির এই ফুটবলার। ৪০ মিলিয়ন ইউরো মার্কেট ভ্যালু নিয়ে তিন নাম্বারে ডোনারুম্মা। সেরা দশে কবেল, মেইগনান ছাড়াও আছেন রায়া, এডারসন, ওনানাদের মতো তারকা গোলরক্ষক।
বাজারদরের ক্ষেত্রে শুধু জাতীয় দল বিবেচনা করা হয় না। এক্ষেত্রে ক্লাবের পারফরম্যান্সটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। একারণেই অনেক জনপ্রিয় তারকারও জায়গা হয় না সেরা দশে।