২০২২ সাল থেকেই বিশ্বের সব নামিদামি ফুটবলারদের সৌদি আরবে ভেড়াতে অঢেল অর্থ খরচ করে দেশটির ক্লাবগুলো। যা রীতিমত দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলকে। রোনালদো, নেইমার, বেনজেমাদের পর সৌদিয়ানদের টার্গেটে ছিলো মেসিও। যদিও শেষমেষ মেসি পাড়ি জমায় যুক্তরাষ্ট্রে।
মূলত বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যেই ফুটবলের পেছনে সৌদির অঢেল অর্থ বিনিয়োগ। বিশ্বের নামিদামি ফুটবলারদের প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি সহজ করতে চেয়েছিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ফলে বেশ কয়েকবার ফিফার কাছে প্রস্তাবও দিয়ে আসছিল দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
শুরুতে অবশ্য সৌদি আরব আগ্রহী ছিল মিসর এবং মরক্কোকে নিয়ে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে। তবে, পরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় দেশটি। ফলে শতবর্ষীয় বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো, যেখানে তিনটি ম্যাচ আয়োজন করবে দক্ষিণ আমেরিকা।
এরপর ২০৩৪ সালে এককভাবে আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করে সৌদি আরব। যদিও সেসময় একইসাথে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অস্ট্রেলিয়াসহ ফিফার কাছে প্রস্তাব দেয় ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার সময়সীমা ফুরোনোর কয়েক ঘণ্টা আগে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের সরিয়ে নেয়। সেই সুরে তাল মেলায় ইন্দোনিশায়ও। ফলে এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনে আর কোন বাধা নেই সৌদি আরবের।
এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফার কাছে প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। সেইসাথে ২০৩৪ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষে প্রচার প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছে সৌদি আরব।