দোয়া কুনুতের উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত

প্রার্থনার দৃশ্য
প্রার্থনার দৃশ্য | ছবি: সংগৃহীত
0

দোয়া কুনুত ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। দোয়ার মধ্যে অন্যতম একটি আমল হলো দোয়া কুনুত। মূলত মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য, ক্ষমা, হেদায়েত এবং নিরাপত্তা প্রার্থনার অন্যতম একটি মাধ্যম এ দোয়া। দোয়া কুনুতের বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত থাকছে প্রতিবেদনে।

দোয়া কুনুত আরবি

اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়ানু’মিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা, ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু ওয়ালাকা নুছল্লি, ওয়ানাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া, ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আজাবাকা; ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মুলহিক্।

দোয়া কুনুতের বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই কাছে ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ইমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সব মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামাজ পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আজাবকে ভয় করি। আর তোমার আজাব তো কাফেরদের জন্যই নির্ধারিত।

আরও পড়ুন:

দোয়া কুনুত কখন-কীভাবে পড়বেন

এশারের পর বিতর নামাজ পড়তে হয়। বিতরের নামাজের তৃতীয় রাকাতে মুসল্লি সুরা ফাতিহা পড়বে। এরপর অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাবে। কিরাত শেষ করার পর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠাবে এবং তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবে। তারপর নিঃশব্দে (অনুচ্চ স্বরে) দোয়া কুনুত পড়বে।

নামাজ পড়ার ছবি |ছবি: সংগৃহীত

দোয়া কুনুত পাঠের ফজিলত কী?

আত্মিক পরিশুদ্ধি, আল্লাহর রহমত, হেদায়েত ও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার শক্তিশালী মাধ্যম দোয়া কুনুত। নিয়মিত এর পাঠ একজন মুসলমানের জন্য অনেক সওয়াব ও কল্যাণ বয়ে আনে। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ আবেদনগুলো তুলে ধরা হয়।

সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি একরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি শয্যা ত্যাগ করে দুই রাকাত নামাজ পড়েন, তারপর বিতর নামাজ শুরু করেন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা আলা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পাঠ করেন। এরপর তিনি রুকুর আগে কিয়ামে দোয়া কুনুত পাঠ করেন।’ (কিতাবুল হুজ্জাহ ১/২০১; নাসবুর রায়াহ ২/১২৪)।

মোনাজাতের ছবি |ছবি: সংগৃহীত

দোয়া কুনুত কেন পাঠ করবেন?

  • আল্লাহর সাহায্য লাভ
  • নবীজির সুন্নাত পালন
  • শত্রু থেকে রক্ষা পাওয়া
  • গুনাহ মাফের উপায়
  • আত্মিক প্রশান্তি লাভ

এফএস