ভোটের আগে জোট। নেপথ্যে বোঝাপড়া, কিংবা আসন ভাগাভাগি। নির্বাচনের আগে যেন চিরচেনা দৃশ্য।
সমমনা দলগুলোর এক ছাতার নিচে জড়ো হওয়া নিয়ে আছে নানা জল্পনা। বড় দলের সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ায়ও আছে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে বিএনপিতে যোগ দেয়ার হিড়িক পড়েছে, যার বড় কারণ দলীয় প্রতীকেই ভোটের বিধান।
নিজ দল থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে ভিড়েছেন গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা। এমনকি দল বিলুপ্ত করেও বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সেলিম।
এই তালিকায় আছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীক পেতে সমমনা ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সৈয়দ এহসানুল হুদাও দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:
ভোটের আগে জোটের রাজনীতির সমীকরণে দলবদলকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছে বিএনপি। বলছে, সংসদে গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিযায় ভূমিকা রাখার আগ্রহকে দেখা হচ্ছে ইতিবাচকভাবেই। যদিও এবারের নির্বাচনে বিএনপিতে তরুণদের প্রার্থী হিসেবে জায়গা দেয়া নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পার্লামেন্টের চর্চা এবং পার্লামেন্টের কোয়ালিটি বৃদ্ধির জন্য আমরা সেদিকটা খেয়াল রেখে এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব যেন বাড়ে সেদিকটা খেয়াল রেখে আজকে আমরা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দলে যোগদান করতে চাইলে আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। এভাবে আরও রাজনৈতিক দলের যাদের মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে, পার্লামেন্টে আসলে ভালো হয়, তাদের সহযোগিতা করা আমাদের উচিত।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ফরহদা মজহার মনে করছেন, ছোট দলগুলো দলীয় নীতি-নৈতিকতার বাইরে শুধুমাত্র সুবিধা ভোগের আশায় দল পাল্টাচ্ছেন। এছাড়া, বড় দলের প্রতীকে ভোট করার আগ্রহকেও আদর্শ বিচ্যুতি হিসেবেই দেখেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কিছু যারা ঢুকছে রাজনৈতিক দলের মধ্যে এটা একান্তই রাষ্ট্রকে যারা লুটপাট করতে চায় এবং এমপি হয়ে কিছু সুবিধা অর্জন করতে চায়। এটা রাজনীতি নয়। রাশেদ খানেরটা রাজনীতি না। বা আরও যাদের কথা বলছি আমি অলি, আহাদদের এটা রাজনীতি নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় গিয়ে আপনি লুটপাট কিভাবে করবেন।’
শুধুমাত্র ভোটের সমীকরণেই ছোট দলের বড় দলে বিলীন হওয়া কিংবা দল ছেড়ে অনেক নেতার বড় দলে যোগদান, পুরনো দ্বিদলীয় কাঠামোকই সামনে আনছে কিনা, সে প্রশ্নও উঠেছে।





