আজ (বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর) রাতেই ঢাকার বিশ্বরোড ৩০০ ফিটে অবস্থান নিয়েছেন হাজারও জনতা। সারাদেশ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ছুটছেন প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য। বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও মাইক্রোবাসে রওয়ানা দিয়েছেন লাখো জনতা।
বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের একটি অংশজুড়ে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। বুধবার রাতের মধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ৪৮ ফুট দীর্ঘ, ৩৬ ফুট প্রশস্ত ও সড়ক থেকে ৮ ফুট উঁচুতে এ মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। প্রায় ৯০০ মাইক লাগানো হবে রাজধানীতে।
এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে আবদুল্লাহপুর, বিশ্বরোড, বনানী হয়ে মহাখালী, যমুনা ফিউচার পার্ক, ৩০০ ফিটের রাস্তা ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে এসব মাইক। পুরো এলাকা সিসি টিভির নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সংবর্ধনাস্থলের বাইরে নেতাকর্মীদের ঢল ৩০০ ফিট ছাড়িয়ে বিমানবন্দর সড়কে উত্তরা-বনানী পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে দলটি সংবর্ধনাস্থল ও আশপাশের সড়কে ৯ শতাধিক মাইকের ব্যবস্থা রাখছে। পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে স্থাপন করবে।
তারেক রহমানের সংবর্ধনার মঞ্চে সঙ্গে থাকবেন তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, যুগপৎ আন্দোলনের শীর্ষ নেতা ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। মঞ্চের সামনে ও দুই সাইডের নিরাপত্তার জন্য ২৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত বিশেষ ব্যারিকেড থাকবে। ব্যারিকেডের বাইরে উভয় পাশে নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
আরও পড়ুন:
তারেক রহমানের সঙ্গে বিমানে তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুর রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা থাকবেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারেক রহমানের ঘরে ফেরা নিয়ে চারদিকে সাজ সাজ রব। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ হতে চলায় বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে নিজ উদ্যোগে ঢাকায় আসা শুরু করেছেন জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
বিএনপি তৃণমূলের এই ঢাকামুখী জনস্রোতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শৃঙ্খলা কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছে দলটি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাগত মিছিল ও প্রস্তুতির সভা চলছে। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ১০টি রুটে। দলটির লক্ষ্য, বিমানবন্দরসহ গোটা ঢাকা জনসমুদ্রে পরিণত করা। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছরের বিরতির পর আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান পুলিশ প্রটেকশনসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাবেন। এছাড়া তারেক রহমানের বাসভবন ও অফিসেও থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়া কাউকে তার কাছে ভিড়তে দেবে না পুলিশ। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ছদ্মবেশে গোয়েন্দারা তারেক রহমানের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবেন।
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বে চেয়ারপারসন কিউরিটি ফোর্সসহ একাধিক টিম কাজ করবে। এছাড়া দলের বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের সমন্বয়েও একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৩০টি মোবাইল মেডিকেল টিম গঠন হয়েছে। বিমানবন্দর ও ৩০০ ফিট এলাকার আশেপাশের হাসপাতাল প্রস্তুত থাকবে। তারেক রহমানের আগমনে লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢাকায় সমাগম হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বগুড়া থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরইমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সমাবেশে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নেতাকর্মীরা বগুড়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। অনেকেই দলীয় ব্যানার, ফেস্টুন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।



