পোস্টে বলা হয়, ১৯৯২ সালের আজকের এইদিন তথা ৬ ডিসেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস ভারতের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক ঘটনা। যা ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সংকীর্ণ রাজনীতির ফল।
সাড়ে চারশো বছরের বেশি সময় আগে মুঘল আমলে নির্মিত এ মসজিদটিকে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা অনবরত ধর্মীয় উস্কানি ও মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে ধ্বংস করে। যা সেদেশের সংবিধান, আইনের শাসন এবং ধর্মীয় নানান গোষ্ঠীর সহাবস্থানকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতজুড়ে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। আমাদের বাংলাদেশসহ পুরো উপমহাদেশেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।
দীর্ঘমেয়াদে ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্থান ঘটায় এবং সেদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও বেদনার গভীর অনুভূতি সৃষ্টি করে।
২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত রায় মন্দির নির্মাণের পক্ষে গিয়েছে। এরপরেও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে সহাবস্থান গড়ে তোলা আজও ভারতের সবচেয়ে বড় মানবিক দায়িত্ব।





