কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি কিংবা রাস্তা অবরোধ। প্রতিদিনই দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্দোলন চলতেই থাকে। রাজনৈতিক নেতারা এটিকে বিগত সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন।
আজ (শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে এমন কোন কর্মসূচি না দেয়ার আহ্বান জানান।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আসল প্রেতাত্মা বিদায় নিলেও তাদের দোসররা এখনও বালাদেশে আছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। কীভাবে? রাজনৈতিকভাবে। কিন্তু আমরা যখনই জাতীয়তাবাদী শক্তি আপনাদের দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি, একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। সে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য চেষ্টা করছে যারা ৭১ এ আমাদের বিরোধিতা করেছে।’
এদিকে প্রেসক্লাবে বিএফইউজের দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জাতি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। ভিন্নতা থাকলেও ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমগ্র জাতি অপেক্ষা করে আছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমরা ফিরে যেতে সক্ষম হবো। আমরা সবাই এটা চাই। একইসঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা গণতন্ত্রে ফিরে যেতে চাইলে অপরের যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেটাকেও আমাদের একইসঙ্গে মূল্য দিতে হবে।’
সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের নিয়ে যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তাতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে যেহেতু কোনো দায়বদ্ধতা নেই, যা কিছু তাই বলা যায়। এমনভাবে রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী সকল সম্পর্কে নেগেটিভ প্রচারণা চালানো হয়, তাতে করে কিন্তু গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না।’
কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করে সাংবাদিকদের সমস্যা সমাধান হবে না বলেও মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।




