তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লব ঘটেছিলো। আজকে যার আদর্শকে আমরা বুকে ধারণ করে দল করি, যাকে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে যিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এমন নেতা আর আসবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকতে তত দিন শহিদ রাষ্ট্রপতির নাম বেঁচে থাকবে, মানুষের হৃদয়ে থাকবে।’
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যিনি বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশকে একটি আদর্শ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল উপহার দিয়েছিলেন। এ দেশ গড়ার জন্য যার নেতৃত্বে সমস্ত মানুষ একত্র হয়েছিলো। শেখ মুজিব দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিলো আর জিয়াউর রহমান আত্মনির্ভরশীল সমৃদ্ধশালী জাতি উপহার দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল আর শেখ মুজিব বিভেদ সৃষ্টি করেছিল। যে কারণে শেখ মুজিবের রাজনীতি এদেশে টিকে নাই। ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছে। আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। সে জনগণকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে হবে। দেশে এক মাত্র আধুনিক দল হচ্ছে বিএনপি। আগামীতে আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলবো। বিএনপি সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।’
সমাবেশে অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ। এ সময় বিএনপি’র অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যান থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।




