তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময় বা এ মুহূর্তে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নির্ধারিত ভোট ২০ শতাংশের বেশি নেই। বিভিন্ন জরিপে এসেছে দেশের ৪৫-৬৫ শতাংশ মানুষ এখনো কাকে ভোট দেবেন সিদ্ধান্ত নেয়নি। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ বিগত দিনে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। এ জনসংখ্যা কাকে ভোট দেবে এটা না জেনেই অনেক রাজনৈতিক দল লাফালাফি করছে।’
সারজিস বলেন, ‘এ মানুষগুলো সবাই সক্রিয়ভাবে অভ্যুত্থানের সাক্ষী। অনেকের পরিবার অভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। তাদের ঘরের টেবিলে আলোচনা হয় অভ্যুত্থানের প্রাপ্তি নিয়ে। এ মানুষগুলো অন্ধভাবে কোনো দল বা মার্কাকে ভোট দেবেন না। তারা তাকেই ভোট দিবে যাদের আগামী ৫ বছরের দায়িত্ব দিয়ে আস্থা পাবে।’
শাপলা প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা করে তিনি বলেন, ‘অন্য কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না। আমরা শাপলা আইনগতভাবে পাই। কিন্তু আইনগতভাবে পাওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না। স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তার মানে কারো প্রভাবে নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত। স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন এটি করতে পারে না। নির্বাচনের আগে একটি দলকে প্রতীক দিতে নির্বাচন কমিশনের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে নির্বাচনে এ নির্বাচন কমিশনের ওপর কীভাবে আস্থা রাখব।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তাদের সক্রিয়তা বা মেরুদণ্ড দেখাতে হবে। তাহলে আমরা তাদের ওপর আস্থা রাখব। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা আশা করছি আমরা কোনো আইনি লড়ায়ে না গিয়েই শাপলা প্রতীক পাব।’





