রেজাউল করীম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, আজকে স্কুলগুলো খালি হচ্ছে। আজ বাংলাদেশের মানুষরা তাদের সন্তানদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর জন্য তৈরি না। আমাদের বাড়ির সামনে প্রাথমিক স্কুল। ছাত্র নাই, ছাত্রী নাই, কোথায় যায়? এখনো আপনারা বোঝেন না?’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ইসলামের পক্ষে। মনের দিক থেকে, মানসিক দিক থেকে, সবদিক থেকে তৈরি হয়ে অপেক্ষায় আছে। আজকে আমরা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছি, আমরা যদি তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হই। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যখন আমাদের ইতিহাস রচনা করবে। তখন আমাদের প্রতি কলঙ্ক ধিক্কার জানিয়ে রচনা করবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো যে, পরিষ্কারভাবে আমরা বলছি ধর্মীয় শিক্ষা, ছোটবেলায় আমরা যখন পড়ছিলাম, তখন হিন্দুদের শিক্ষক ছিল, আবার মুসলমানদের বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষক ছিল। আমরা পড়েছি, আমরা দেখেছি। কিন্তু আপনি গানের শিক্ষক নিয়োগ দেবেন? কী শেখায়? কী করতে চান?’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘টাকা তো আমরা কামাই করে ওখানে পাঠাই। আর সেই টাকা নিয়ে আমাদের বাচ্চাদেরকে বেয়াদব বানাবেন, উচ্ছৃঙ্খল বানাবেন, চরিত্রহীন বানাবেন- এটা কখনোই আমরা সহ্য করবো না। এর প্রতিবাদ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এটার যদি আপনারা ব্যতিক্রম করেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ-ইসলামপ্রেমী, ধর্মপ্রেমী সবাই কিন্তু রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। কথা পরিষ্কার।’
এ সময় মতপার্থক্য ভুলে ইসলামি দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে লড়াই করার আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ।
প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয় সেমিনারে।





