এ সময় তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের সেই স্বৈরাচার শাসনামলের অবসান ঘটে।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৫ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট মানি আসার কথা। কিন্তু এই টাকাটা দেশে আসেনি। এই টাকাটা পাচার হয়ে গেছে। কাজেই সেরকম বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে যেভাবে রেখে গেছে, সেখানে বাংলাদেশে এখন দুর্ভিক্ষ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন গৃহযুদ্ধ চলবার কথা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছিল, দেশে দেশে লাখ লাখ লোক মারা যাবে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কোথাও এরকম ঘটনা ঘটেনি। কারণ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা করেছে। আমাদের সকলের উচিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রফেসর ইউনুস ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব যদি অন্য কেউ পেত তাহলে ভারত এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে দিতো। ভারত যে পরিমাণ মিস ইনফরমেশন, ডিজ ইনফেকশন, বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা, মাইনোরিটি নির্যাতনের নাটকের গল্প দেখিয়েছে আমরা বাইরের দেশের কাছে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তাম। প্রফেসর ইউনুস থাকাতে সারা বিশ্বকে এই গাল-গল্প বিশ্বাস করাতে পারে নাই আওয়ামী লীগ। এটা আমাদের জন্য বড় একটা ইতিবাচক বিষয়। ওনার মতো একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বকে আমরা আমাদের সরকারের সম্মুখ ভাগে পেয়েছি।’
‘অনেক রাজনীতিবিদ বলেন, যেন দেশে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দেয়া হয়। সত্যিই কি নির্বাচন প্রয়োজন? এবি পার্টি মনে করে না। কারণ ফ্যাসিস্টদের বিচার ও দেশ পুনঃ সংস্কার না করে এ মুহূর্তে নির্বাচন দেয়া উচিত হবে না। তাহলে পুনরায় দেশ কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হবে।’
ফুয়াদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু তারা পেরে উঠছে না। কারণ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েও রাজনীতিকরণ হয়েছে। এই বাহিনীতে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার লোক নিয়োগ হয়েছে। এখন তাদের বাতিলও করা যাচ্ছে না আবার কাজেও লাগানো যাচ্ছে না।’
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মোমেনশাহী জেলার আহ্বায়ক শাহজাহান মল্লিক, শেরপুর জেলার সদস্য সচিব মুকসিতুর রহমান, এবি পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, জামালপুর পৌরসভার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বুলবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান, জামালপুর এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শিহাব ইসলাম, শেরপুর জেলা যুব পার্টির আহ্বায়ক এসএম শাহাদাত হোসেন শিবলু ও যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী প্রমুখ।