আওয়ামী লীগকে সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'তাদের প্রচারণা ও মেনিফেস্টো হচ্ছে মিথ্যা। আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম সরি ফিলিংস নেই। এখনো হুমকি-ধামকি অব্যাহত আছে।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের সাথে মতপার্থক্য থাকলেও আগামীর বাংলাদেশ সব ফ্যাসিবাদবিরোধীদের। আমলারা যদি সতর্ক না হয় তাহলে তাদেরও হাসিনার মতো অবস্থা হবে।'

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, '৩২ নম্বরের বাড়ি ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল, যেটা পরে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।'

তিনি বলেন, 'পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করা হয়নি আর ফ্যাসিবাদের প্রতীকগুলো রেখে দেওয়া হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২, ৫ আগস্টেই ধূলিসাৎ করে দেওয়া উচিত ছিল, যেটা পরবর্তীতে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে।'

তিনি বলেন, 'তাদের কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমেন্টে হুমকি-ধমকির স্বাধীনতা উপভোগ করছে। তাদের মধ্যে কোনো ভয় ভীতি নেই। তারা এখনও হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে।'

হাসনাত বলেন, 'নির্যাতিত ও নিপীড়িত ছিল বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো, আর নির্যাতকের ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে যার নিপীড়িত, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদের। আমরা যারা ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছি এই বাংলাদেশটা আমাদের।'

তিনি বলেন, 'সচিবালয়ের গতি যেন ৩২ নম্বরের মতো না হয়, সচিবালয়ের গতি যেন গণভবনের মতো না হয়।'

তিনি বলেন, 'আপনাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। আপনারা জনগণের সেবা করতে আসছেন। আপনারা জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আপনারা রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না। এটা নিজের মধ্যে ধারণ করুন।'

আপনারা যদি মনে করেন সচিবালয়ে বসে, আপনারা ধানমন্ডির সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রাখবেন, তাহলে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়া হবে বলেও জানান আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, 'জনগণের জন্য কাজ করুন, জনগণের শক্তি অনুধাবন করুন আমি খুব করে চাইব, ধানমন্ডি ৩২-এর পরিণতি যেন সচিবালয়ের না হয়, আমি এটা খুব করে চাইব, মন থেকে চাইব কোনো এক সময় হয়ত এই বছর না হোক, ১০ বছর পর হোক, ১৫ বছর পরে, ২০ বছর পরে সচিবালয়ের পরিণতি যেন গণভবনের মতো না হয়।'