পৌষের রোদ মাখা দুপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাঁধভাঙা উল্লাস জানান দিচ্ছে অর্ধ যুগ পর এমন বড় পরিসরে সমাবেশ করে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়-২ আসনের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা।
বহুল প্রতীক্ষিত সমাবেশ ঘিরে আজ (রোববার, ২২ ডিসেম্বর) দুপুর গড়ানোর আগ থেকেই বোদা উপজেলার সাকোয়া হাইস্কুল মাঠে ব্যানার ফেস্টুন সমেত ছোট-বড় মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা কর্মীরা।
এ সময় সমাবেশস্থলে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টান ও আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি জনসভাকে রূপ দেয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের।
বাদ জোহর শুরু হয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা। মাঠে যখন হাজারো নেতা কর্মীর সমাগম তখন বক্তব্য দেয়া শুরু করেন আমন্ত্রিত নেতারা। এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। রাজনৈতিক সরকার ছাড়া সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা সম্ভব নয় মন্তব্য করেন তারা।
বিকেল ৪টায় নেতাকর্মীদের সমাগমে মাঠ যখন পরিপূর্ণ তখন জনসভায় যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ভোট চুরির মধ্যদিয়ে দেশে ত্রাসের রাজত্ব করেছিল আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লোকে বলে সংস্কার কী জিনিস? সাধারণ মানুষ এত সংস্কার বোঝে না, তাদের মূল কথা হচ্ছে তারা যেন ভোটটা ঠিকমতো দিতে পারে। তাদের চাওয়া আমার দেশে যেন শান্তি থাকে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম যেন কম হয়, মারামারি যেন না হয়। তারা তিনবার প্রায় পনেরো বছর ধরে ভোট দিতে পারে না। সেই ভোটের অধিকার তারা ফেরত চায়। ’
এ সময় তিনি বলেন,‘নির্বাচনের কথা বললে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হয়। দেশের মানুষ সংস্কার বোঝে না তারা ভোটাধিকার ফেরত চায়।’
জনসভায় যোগ দেয়া পঞ্চগড়-২ আসনের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা জানায়, আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ। দলের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিই তাদের মূল লক্ষ্য।





