এতদিন সীমান্ত হত্যা, পানি বণ্টনসহ নানা চুক্তিতে ন্যায্যতা আর সমতার প্রশ্নে বৈষম্য দেখা যায় প্রতিবেশী দেশের। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া পর সেটি আরো স্পষ্ট হয়।
বিপ্লব পরবর্তী সময়ে প্রথম মিথ্যাচার শুরু হয় ভারতীয় মিডিয়া থেকে। যার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ পায় আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার মধ্য দিয়ে।
আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের এই আগ্রাসন ও অপতৎপরতা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দেশের অখণ্ডতার প্রশ্নে দেশের সব দল এক। ঐক্য আর কোনোদিন কেউ ভাঙতে পারবে না বলে দাবি তার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের এই খোকন, মুগ্ধের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা, শেখ হাসিনা যদি আরো একশোবার জন্ম গ্রহণ করে আসে তাও আর বাংলাদেশে কোনো ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। যে ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে তা অটুট থাকবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র হবে, দিনের ভোট দিনে হবে।’
প্রেসক্লাবে সামনে এদিন আরেক অনুষ্ঠানে ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেন, ভারতের কাছে মাথা নত নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল আগ্রাসন ঠেকানো হবে।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ যে আমাদের এখানে উসকানি দিতে পারে তা আজ গোটা জাতি ধরে ফেলেছে। আমাদের ঐক্য ইস্পাত কঠিন ঐক্য। এই ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না। তারা যদিও আমাদের পতাকাকে অসম্মান করেছে তারপরেও তাদের দেশের পকাতাকে আমরা সম্মান করব। কিন্তু আমরা তাদের পণ্য বর্জন করব।’
দুপুরে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি আয়োজিত স্মরণ সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে ভারতের পরিবেশগত আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান। বলেন, প্রয়োজনে আরো একটি লংমার্চ হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রত্যেকে নিজ জায়গা থেকে সংস্কার করতে হবে। পানি সভ্যতার যে সিজন যাকে ড্রাই সিজন বলা হয় সেই সিজনে আমরা আরেকটি লং মার্চ করব।’
এ সময় ষড়যন্ত্র রুখতে আবারো দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।