এ দুইজন হলেন সংস্থাটির প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক ও একান্ত সচিব মো. আমজাদ হোসেন নিপু এবং ইঞ্চিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের উপ-পরিচালক মাহদী আহমদ।
কমিশনের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দাবির মুখে এ দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও তাদের দাবি অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকেও পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।
সংস্থার পরিচালক (প্রশাসন) আফতাব মো. রাশেদুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় অসাধু সিন্ডিকেটে জড়িত থেকে দুর্নীতি করেছেন মর্মে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় এবং কর্মচারীদের বিভিন্ন সময়ে নিপীড়ন ও নিষ্পেষণের প্রেক্ষিতে তাদের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন চাকরি প্রবিধিমালা ২০২২ এর বিধি-৪৮ ও ৫৪ ধারা এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি-৩ (খ) (ঘ) (ই) ও বিধি-১২ (১) অনুযায়ী কমিশনের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সূত্র মতে, মাহদী আহমদের পিতা মাহফুজ উদ্দিন আহমদ গত আওয়ামী সরকারের আমলে তিন-তিন বার বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে ৪৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে তিনি বর্তমানে দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামী।
এছাড়াও অভিযুক্ত আমজাদ আইএসপিএবি (ইন্টারনেট লাইসেন্সধারীদের সংগঠন) এর পরিচালক এস এম জাকির হোসাইন (ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক) এর মদদে শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় সারাদেশের সাবেক ছাত্রলীগ/যুবলীগ/স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পাঁচ শতাধিক আইএসপি লাইসেন্স প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং তিনি দুর্নীতিতে দোসরের ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে বিটিআরসি-থেকে অবিলম্বের তার পদত্যাগ চেয়ে রোববার দিনভর বিক্ষোভ করেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তিনি ছাত্র-জনতা অভ্যূত্থানের পর আর অফিসে আসেননি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।