এলজিইডির সড়ক গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানোর পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিকাংশ সড়ক সংস্কার না করায় চলাচলে বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধিকাংশ সড়কজুড়ে দেখা দিয়েছে দগদগে ক্ষত। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টির সময় এগুলো যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যা এখন মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বটতলি থেকে আশুগঞ্জের তালশহর পর্যন্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ফলে সড়কের বেশিরভাগ অংশে পলেস্তারা উঠে তৈরি হয়েছে গর্ত। প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে যানবাহন, ঘটে দুর্ঘটনা।
একই চিত্র গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ সড়কের। ভাঙা সড়কে দুর্ভোগের পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয় অতিরিক্ত ভাড়া।
যাত্রী ও চালকরা বলেন, 'সড়কগুলো সংস্কারের মাধ্যমে চলাচল উপযোগী করে দেয়া হোক। এই রাস্তায় চলাচল করার কোন উপায় নেই। ভয়ানক অবস্থা বললেও ভুল হবে না।'
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাঙা সড়কে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। যার প্রভাব পড়ছে পণ্যের মূল্যে। এতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র পরিচালক মো. আল মামুন বলেন, 'এ রাস্তার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো যাচ্ছে না, যার প্রভাব অর্থনীতিতেও পড়ছে। সরকারের উচিত এই সড়ক মেরামত করে দেয়া।'
এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি অর্থবছরে সড়ক মেরামতের জন্য প্রয়োজন প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সেই তুলনায় বরাদ্দ কম। তবে আশার কথা হচ্ছে, সড়কের উন্নয়নে ২৫টি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, 'মানুষ যেন নির্বিঘ্নে এবং দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করবো। আশা করছি দ্রুতই বরাদ্দ পাবো এবং ভালো সেবা দেয়ার চেষ্টা করবো।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাঁচা ও পাকা সড়ক আছে ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটার। এ সব সড়ক মেরামতে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা।