বিকল্প পদ্ধতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি আলাদা স্কিমের মাধ্যমে চালু আছে এই প্রকল্প। তবে বিগত সরকারের এই প্রকল্প আস্থার অভাবে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি প্রবাসীদের মাঝে। চালু হওয়ার পর থেকে গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাস স্কিমে নিবন্ধন ১ হাজারেরও কম।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাস স্কিমে নিবন্ধন করেছেন ৯৪৩ জন প্রবাসী। এরমধ্যে নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করছেন ৩২১ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রবাস স্কিমে নিবন্ধনের সংখ্যা ৩০১টি। ১০১ জন নিবন্ধনকারী নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৮৩ জন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। শীর্ষ ১০ গ্রাফিক্স কার্ড
একযুগ ধরে দুবাইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি করেন নিজাম উদ্দিন। মাসিক বেতন প্রায় ১৫শ' দিরহাম। দীর্ঘসময় প্রবাসে থাকলেও সঞ্চয়ের খাতা শূন্য। সরকার ঘোষিত পেনশন স্কিম সম্পর্কে জানেন না এই প্রবাসী। তার মতো অসংখ্য প্রবাসী এখনো পেনশন স্কিমের সঠিক তথ্যই পাননি।
নিয়ম অনুযায়ী বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক নির্ধারিত হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রবাস থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সমপরিমাণ অর্থ দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যাবে স্কিম। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন করে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী এ কে আজাদ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কনস্যুলেট আছে এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও বাংলাদেশের মিশনগুলো আছে। এই মিশনগুলোর মধ্যে এটাকে ক্যাম্পেইন আকারে সাধারণ জনগোষ্ঠী কাছে গিয়ে বলতে হবে। তাহলেই মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।’
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অর্থ বিভাগ যুগ্ম সচিব ড. এ. কে. এম আতিকুল হক বলেন, ‘আমরা আগে চেষ্টা করেছে আমাদের বিভিন্ন মিশনের মাধ্যমে কিন্তু সেটায় আমরা সফল হতে পারি নাই। এখন আমরা নতুন করে করছি।’
প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণ, দেশে ফিরে সুন্দর জীবন-এমন প্রতিপাদ্যের পরেও রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কাছে এর সঠিক প্রচারণা নেই। বাংলাদেশ মিশনসহ সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রচারণার উদ্যোগ নিলে পেনশনের বাস্তবিক সুফল পেতে পারেন প্রবাসীরা।