হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামের কৃষক তাহির মিয়া। তিনবিঘা জমিতে আমন রোপনের দুইদিন পরই তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে। এক সপ্তাহের বেশি পানির নিচে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে পুরো জমি। এখন পানি নামায়, পচে যাওয়া চারা পরিষ্কার করছেন তিনি। সেই জমিতে নতুন করে আবারও স্বপ্ন বোনার আপ্রাণ চেষ্টা তার।
ছবি: পচে যাওয়া চারা পরিষ্কার করছেন তাহির মিয়া
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৮৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এরমধ্যে আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার ৯৫ হেক্টর জমি। তবে বন্যায় ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৩ হাজার ১৮৩ হেক্টর আমনের ক্ষেত। তবে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায়। জেলায় আবাদ করা ৪ হাজার ৪৩৩ হেক্টর বীজতলার মধ্যে ৩ হাজার ৩৪৬ হেক্টর নষ্ট হয়ে গেছে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবারও চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা। এতে চলতি বছর আমন উৎপাদনে দ্বিগুণের বেশি খরচ গুণতে হবে তাদের। তবে আমন আবাদের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় সংকট চারা না পাওয়া। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের চারা যোগান দিতে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারি উপ-পরিচালক বনি আমীন জানান, 'যেহেতু এবার বন্যার পানি দেরিতে ঢুকেছে তাই সেসব জমিগুলোতে আমন চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেসব জমিগুলোতে শীতকালিন শাকসবজি, প্রণোদনায় সার, বীজ সরবরাহের জন্য আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি।'
কৃষি বিভাগ বলছে, বন্যার কারণে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পূরণ করা সম্ভব হবে না। এর আগে, দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলায় আউশ আবাদ ৭০ শতাংশের বেশি বিপর্যয় ঘটে।