কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় আগেভাগে আম সংগ্রহে বাগানিরা

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সাতক্ষীরার অনেক আম চাষি নির্ধারিত তারিখের আগেই গাছ থেকে আম পাড়ছেন। অপরিপক্ক আম স্থানীয় বাজারে না এলেও অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে গোপনে। এরপর যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। তবে প্রশাসন বলছে নির্ধারিত সময়ের আগে আম বাজারজাত করলে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।

চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। তবে প্রথম ধাপে গোপালভোগ ও গোবিন্দভোগ আমপাড়ার কথা থাকলেও অনেকে হিমসাগর, ল্যাংড়াসহ অন্যান্য জাতের অপরিপক্ক আম গোপনে বাজারজাত করছেন। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমি চাষিরা।

তারা বলেন, বাজারে তো আমের তেমন দাম নাই। এতে তো আমাদের ঘাটতি হবে। আবার ঝড় আসতে পারে। গাছের ছোট আমগুলোর বাজারে কোন চাহিদা নাই। আমরা লোকসানের মুখে পড়বো।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুমি অনলাইন ব্যবসায়ীরা এসে বাগান থেকে কম দামে আম সংগ্রহ করে ভোক্তাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করছে। এতে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমেছে আমের। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের খবরে নতুন করে ক্ষতির শঙ্কায় বাগান মালিকরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, আম বাজারজাত করণে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর আগে কেউ আম বাজারজাত করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ তিতুমির বলেন, 'যারা অপরিপক্ক আম রাসায়নিক দিয়ে পাকানোর চেষ্টা করে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যাতে ভোক্তা কোনভাবেই প্রতারিত না হয়। ঝড়ের আগেই কৃষকদেরকে হিমসাগর আম বাজারজাত করতে বলেছি।'

চলতি বছর ৯ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, ২২ মে থেকে হিমসাগর, ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া এবং সবশেষ ১০ জুন থেকে আম্রপালি আম বাজারজাতকরণের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তারপরও থেমে নেই অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা।

এদিকে বেশিরভাগ বাগানের আম এখনও পুরো পরিপক্ক না হওয়া জমে ওঠেনি রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজার। তবে, গত ১৫ মে থেকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে আটি বা গুটিজাতের আম। উন্নত জাতের আম বাজারে না আসায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব জাতের আম।

প্রশাসনের বেঁধে দেয়া তারিখ অনুসারে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে আসবে গোপালভোগ, রানীপছন্দ, লক্ষনভোগ বা লখনা, খিরসাপাতসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আমগুলো। এসব আম বাজারে এলেই জমে উঠবে বানেশ্বরের পাইকারি আমের বাজার।

এভিএস