কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা বলেন, 'কৃষি আমাদের প্রাণ। কৃষিই আমাদেরকে বাঁচায়ে রাখে। স্বাধীনতার সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি, সে সময় যে পরিমাণ কৃষি জমি ছিল এখন কিন্তু কমে গেছে, এখন জনসংখ্যা প্রায় আঠারো কোটি হয়ে গেছে। কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরিশ্রম করে এ বিশাল জনগণের খাদ্য চাহিদা জোগান দিচ্ছে।'
কৃষকদের যেকোনো সমস্যার কথা বেশি করে তুলে ধরার জন্য তিনি সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আমাদের উপকার করে। আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারি।'
কৃষির উপর ভালো খবর ও সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করার উপর উপদেষ্টা গুরুত্বারোপ করেন।
চালের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, 'যে পরিমাণ ধান ক্রয় করার কথা সে পরিমাণ এখনও সংগ্রহ হচ্ছে না। ধানের দাম আমরা গত বছরের চেয়ে কেজি প্রতি তিন টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি। মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে, চিকন চালের দাম বাড়তি আছে। চালের দাম হ্রাসে সরকার সচেষ্ট আছে।'
সিন্ডিকেট নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা দৃশ্যমান তেমন কোনো সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে কোনো সিন্ডিকেট হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
দিনের অপর কর্মসূচিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা সাম্প্রতিক সংকটের সময় সব্জীর ওএমএস কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। রোজার সময় এ কর্মসূচি আবারও চালু করা হতে পারে বলে জানান তিনি। কৃষক যাতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্যে পায় সে বিষয়ে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য কৃষি বিপণন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষিতথ্য সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।