কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

চৈত্রের বৃষ্টিতে খুশি রাজশাহীর আম চাষিরা

রাজশাহীর অন্যতম একটি প্রধান অর্থকরী ফসল আম। প্রতিবছর আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বড় অংকের অর্থের যোগান দিয়ে থাকে এ আম। এ বছর বাগানগুলোতে আশানুরূপ মুকুল না এলেও চৈত্রের বৃষ্টিকে আর্শীবাদ মনে করছেন আম চাষিরা।

প্রতিবছর গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, আমরুপালী, ল্যাংড়াসহ প্রায় ৩০০ জাতের আমের চাষ হয় রাজশাহী অঞ্চলে। যা বড় অংকের অর্থের যোগান দিয়ে থাকে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে এবার রাজশাহীর আমের বাগানগুলোতে মুকুল এসেছে দেরিতে। আবার অনেক গাছেই দেখা মেলেনি কাঙ্ক্ষিত মুকুলের।

চৈত্রের শুরু থেকেই সূর্যের প্রখরতা বাড়তে থাকে বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে। এতে আম বাগানে সেচের প্রয়োজন হওয়ায় খরচ বাড়ে। তবে সম্প্রতি দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় একে আর্শীবাদ হিসেবে দেখছেন কৃষকরা।

এরইমধ্যে ফাল্গুনে আসা মুকুলের ৮০ শতাংশ রূপ নিয়েছে গুটিতে। গুটি রক্ষায় বার বার কীটনাশক স্প্রে করাসহ চাষিরা এবার গাছের বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন।

আম চাষিরা বলেন, বৃষ্টি আমের জন্য খুব উপকার হলো। শতকরা ৮০ ভাগ আম ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছে। ২০ ভাগ আম ক্ষতি হবে। মুকুল ঝরে এখন শুধু গুটি দেখা যাচ্ছে। স্প্রে করে ভিটামিন দিলে আম বড় হয়ে যাবে।

গতবছর মুকুল বেশি এলেও খরায় বেশিরভাগ মুকুল ঝরে যায়। তাই এ বছর বাগানে মুকুল কম এলেও পর্যাপ্ত যত্ন নেয়া হলে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসান ওয়ালীউল্লাহ।

তিনি বলেন, 'মুকুল অনেক জায়গায় কম এসেছে। আবার কোথাও কোথাও ভালো হয়েছে। সেক্ষেত্রে উৎপাদনে কিছুটা হয়তো কম হবে। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ না আসলে খুব একটা খারাপ ফলন হবে না।'

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আশা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আড়াই লাখ টনের বেশি আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।