আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলের মধুপুরের গড়াঞ্চলে এবার ভালো ফলন হয়েছে পেঁপের। মধুপুরের থানারবাইদ এলাকায় ৩০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আনারসের সাথী ফল হিসেবে টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করেছেন আজাদ মিয়া। প্রতি বিঘায় আনারস ও পেঁপেতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচ হলেও বিঘায় ২ লাখ টাকা বিক্রির আশা তার। বলেন, 'এই বাগান থেকে আমার ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি পেঁপে উৎপন্ন করেছি। প্রতি কেজি ২৫ টাকা বিক্রি করেছি। আমার লক্ষ্য এখান থেকে ২ লাখ কেজি পেঁপে হার্ভেস্ট করা।'
শুধু আজাদ মিয়া নন, মধুপুরের গারো বাজার, দোখলা, কোমলবাইদসহ বিভিন্ন এলাকার চাষিরা দেশীয় জাতের পাশাপাশি টপলেডি, গ্রীনলেডি, থাইসহ নানা জাতের পেঁপে চাষ করেছেন। এখানকার প্রতিটি গাছ থেকে মেলে ৫০-৬০ কেজি পেঁপে। ভালো লাভ হওয়ায় চাষিরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন উৎপাদনে।
চাষীরা বলেন, 'গাছ প্রতি খরচ হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। বিক্রি করতে পারছি ১০০০ টাকার মতো।'
এসব বাগান থেকে পেঁপে কিনে নিয়ে যান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারের পাইকাররা। ব্যবসায়ীরা বলছেন মান ভালো হওয়ায় এখানকার পেঁপের চাহিদা ভালো।
পেঁপে ব্যবসায়ীরা জানান, 'এই পেঁপে মিষ্টি হয়। দামও বেশি পাওয়া যায়। ৩০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। ঢাকায় এর চাহিদা আছে।'
চলতি মৌসুমে মধুপুরে ৭৫০ হেক্টর জমিতে হয়েছে পেঁপে চাষ। চাষিদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে রোগবালাই দমনে সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। এবার উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ২৪৫ মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, 'চারা রোপন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত কারিগরি সহায়তা আমরা কৃষকদের দিয়েছি। যে কারণে ফলন বেশি হয়েছে।'
মধুপুর ছাড়াও জেলায় চলতি মৌসুমে এক হাজার ৫শ' ২৪ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে।