বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আখের ক্ষেত। আখ কাটা, পরিষ্কার করা ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
টাঙ্গাইল সদরের কৃষক নজরুল ইসলাম। চলতি মৌসুমে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছেন। জমি প্রস্তুত থেকে পরিণত হওয়া পর্যন্ত ৫ বিঘা জমিতে খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় প্রায় ৫ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।
আখচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, '১ বিঘা জমিতে আমার খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। অর্ধেক যায় সার, বীজের পিছনে আর অর্ধেক যায় কামলাদের পিছনে।'
তার মতো সদরের প্রায় ৫শ' কৃষক আখের চাষ করেন। একই জমিতে চাষ করা হয় পেঁয়াজ, ডাল, মিষ্টি, কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি। এতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ ও সময় কিছুটা বেশি লাগলেও লাভও হয় কয়েকগুণ।
আখ চাষিদের মধ্যে একজন বলেন,' মিশ্রিদানা, ঈশ্বরদী-১৬ আরো একটি জাতের আখ আবাদ করছি। ফলনও ভালো হয়েছে লাভবানও হতে পারবো।'
ক্ষেত থেকে প্রতি হাজার আখ আকারভেদে ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় কিনে ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন পাইকাররা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় রাজধানীসহ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
আখ পাইকারীরা জানান, 'টাঙ্গাইলের আখ সব থেকে বেশি পছন্দের উনাদের কাছে। মিষ্টি বেশি, সুস্বাদু এজন্য ।'
আখ চাষের পরিধি বাড়াতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ' ঈশ্বরদী-১৬ জাতের আখ কৃষকরা সম্প্রসারণ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ সুগার ট্যাং রিসার্স ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিএসআরআই-৪১ এবং বিএসআরআই-৪২ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আশা করি টাঙ্গাইল জেলা এগিয়ে যাবে।'
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলে ৪৬৩ হেক্টর জমি থেকে অন্তত ২২ হাজার টন আখ উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। প্রতিবিঘা আখ উৎপাদনে খরচ বাদে কৃষকের লাভ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।