ড. জিয়াউদ্দিন হায়দারের জন্ম ঝালকাঠি সদর উপজেলার নৈকাঠি গ্রামে। তার বাবা মরহুম হরমুজ আলী সিনিয়র সহকারী সচিব ছিলেন। জিয়াউদ্দিন হায়দার আশির দশকে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। একজন পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে জিয়া হায়দার এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার ৩৫ দেশে টেকসই স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে ৩০ বছর কাজ করেছেন।
সবশেষ তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকরে একজন সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবসর নিয়েছেন।
তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ফিলিপাইন ইউনিভার্সিটি থেকে খাদ্য ও পুষ্টি পরিকল্পনায় মাস্টার্স, এবং সুইডেনেরে উমিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পুষ্টি ও মহামারিবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে ড. জিয়া হায়দার ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যাডজাঙ্কট সহযোগী অধ্যাপক। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ড. জিয়া হায়দার সবার বড়। চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাই চিকিৎসক, এক ভাই শিক্ষক এবং তিন বোনই উচ্চ শিক্ষিত।
জিয়া হায়দার ১৯৮৮ সালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তার মেজো ভাই অধ্যাপক কামাল উদ্দিন হায়দার শাহীন বর্তমানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। সেঝ ভাই অধ্যাপক ডা. খালিদ মাহমুদ শাকিল বর্তমানে ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু সার্জারির অধ্যাপক।
ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, 'দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তা পালনে আমি সচেষ্ট থাকবো। দেশে উন্নয়ন কেন্দ্রীক যে নতুন ধারার রাজনীতি তারেক রহমান প্রবর্তন করেছেন তা তৃণমূল পর্যায় ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ করবো।'