‘গুমের শিকার ৩৩০ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে’

দেশে এখন
0

এক হাজার ৭৫২টি গুমের অভিযোগের মধ্যে ১ হাজারটি গুমের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় গুম কমিশন। মঙ্গলবার কমিশন জানায়, গুমের শিকার ৩৩০ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে কমিশন বলছে, ব্যক্তির দায়ের জন্য কোনো নিরাপত্তা বাহিনীকে দোষারোপ করে সমীচীন হবে না।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে মানবাধিকার ইস্যুতে সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত ছিল বিচার বহির্ভূতভাবে গ্রেফতার ও গুম।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে গুম কমিশন গঠন করে। কমিশনের ধারণা গেলো ১৬ বছরে গুমের শিকার প্রায় ৩ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অনেকেই ফিরে এসেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর গোপন বন্দিশালা থেকে। তবে এখন পর্যন্ত কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ৭৫২টি।

মঙ্গলবার কমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া তথ্যে উঠে আসে গুম কমিশনের তদন্তের সর্বশেষ তথ্য। এখন পর্যন্ত জমা অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে ৩২৫ জনের যার ভেতর রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ সদস্য।

বক্তব্যে জানা যায়, গুমের শিকার হওয়া ৩৩০ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়া কমিশন জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে গেলো আড়াই বছরে ভারতে আটক রয়েছে ১০৬৭ জন বাংলাদেশি। তবে তারা সবাই গুমের শিকার হয়েছিলো কিনা তা তদন্তের বিষয় বলে জানানো হয়।

গুম ইস্যুতে আয়নাঘরের আলোচনা ছিল তুঙ্গে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আয়নাঘর পরিদর্শনের কথা বারবার উঠে আসে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নানা বক্তব্যে। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর ভেতর ৩ টি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন।

কমিশন জানায়, যেখানে উঠে এসেছে বন্দিশালার আলামত নষ্ট করার চিত্র। পরবর্তীতে আলামত নষ্ট করা রোধে সারাদেশের বন্দিশালাগুলোকে অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দেয় গুম কমিশন।

কমিশন্স অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর আলোকে ৭৪ টি অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তবে কমিশন বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগগুলো তাদের ব্যক্তিগত অপরাধ। ফৌজদারি অপরাধ হওয়াতে বাহিনীর উপর গুমের দায় দেয়া অনুচিত হবে। কমিশন মনে করে, দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে বাহিনীর দায় মোচন সম্ভব।

এএইচ