দুদকে জনবল ও বিশেষ জজ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে: দুদক কমিশনার

এখন জনপদে
দেশে এখন
0

দুদকে জনবল ও বিশেষ জজ আদালতের সংখ্যা না বাড়ালে দুর্নীতির মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা কঠিন হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। আজ (সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে দুদকের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আলি আকবার আজিজী বলেন, 'গত দুই মাসে দুদক বেশ কয়েকটি মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে। তবে আরও কিছু মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, যেগুলোর প্রমাণ নিশ্চিত হলে চার্জশিট দেয়া হবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম থাকায় কাজের চাপ বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষ জজ আদালতের স্বল্পতা। কিন্তু আদালতের সংখ্যা বাড়ানো না হলে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চালানো কঠিন। সরকারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'সারাদেশে মাত্র ৩৭টি বিশেষ জজ আদালত থাকায় প্রতিটি আদালতেই মামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিচারকরা ব্যস্ত সময় পার করলেও এত মামলার শুনানি ও রায় দ্রুত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।'

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ।

জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গণশুনানিতে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়ারেস ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খবিরুল আলম চৌধুরী।

'রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ' এই স্লোগানে আয়োজিত এ গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণের ৫৮টি অভিযোগসমূহ অভিযুক্ত দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়। একইসাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধারণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এসএস