ধনীর সম্পদে গরীবের অধিকার প্রতিষ্ঠার ধর্মীয় বিধিনিষেধ যাকাত। যার মূল উদ্দেশ্য সমাজে ভারসাম্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা সৃষ্টি করে দারিদ্র্য দূরীকরণ।
মাহে রমজান আসন্ন। এরপরই ঈদুল ফিতর। যেখানে অবস্থাসম্পন্ন মুসলমানরা যাকাত আদায় করেন। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের হিসাবে, প্রতিবছর দেশে এক লাখ কোটি টাকার যাকাত হয়।
তবে ব্যক্তিগতভাবে ও সমন্বয়হীন যাকাত আদায়ের কারণে বঞ্চিত থাকেন নিম্নবিত্তরা। যাকাতের হিসাব, আহরণ, বণ্টন ও সচেতন করতে রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রয়োদশ যাকাত মেলার। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, যাকাতকে শুধু ইবাদত হিসাবে না দেখে তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে মনোযোগী হতে হবে।
সিজেডএম শরিয়াহ সুপারভাইজরী বোর্ডের সদস্য প্রফেসর মোখতার আহমাদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদ্রাসাগুলোতে যদি মর্ডান ইস্যুগুলো যদি তুলে ধরা যায় তাহলে তারা বুঝবে এবং এগুলো নিয়ে বিস্তরভাবে আলোজনা হবে মানুষের মধ্যে।'
সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, 'রাষ্ট্র অন্তত তিনটি বিষয়ে কিছু করবে। করলেই অন্তত যাকাত আদান প্রদানের ব্যাপারগুলোতে একটি সুস্থ সাবলিল পরিস্থিতি গড়ে উঠতে পারে।'
এসময় ওয়ার্ল্ড যাকাত অ্যান্ড ওয়াকফ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বের অন্যান্য দেশের যাকাত পদ্ধতি তুলে ধরেন। বাতলে দেন, আধুনিক বিলি-বণ্টন পদ্ধতি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, যাকাতের দৃশ্যমান প্রভাব থাকতে হবে। দেশের আয়কর পদ্ধতি ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সংস্কার ছাড়া সফলতা আসবে না বলে মনে করেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, 'মানুষের নৈতিকতাবিহীনভাবে যখন আমরা তৈরি হই, আমরা যখন আস্তে আস্তে যাই, তখন না ট্যাক্সের দায় বোধ করি, না যাকাতের দায় বোধ করি, না আমাদের ধর্মীয় দায় বোধ করি। এ সমাজ তো আমরা অবশ্যই চাই না।'
যাকাত মেলায় অংশ নিয়েছে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা, ইসলামিক সোশ্যাল ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনী স্টল। যেখান থেকে যাকাতের সঠিক হিসাব নিরূপণ ও এই সম্পর্কিত জিজ্ঞাসার উত্তর এবং পরামর্শ দিচ্ছেন কনসালটেশন ডেস্ক।