সাতদিনে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

দেশে এখন
0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অতিদ্রুত আয়োজনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।

গত ৩১ জানুয়ারি এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. সাখওয়াত হোসেন। তিনি ঢাবি শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসাইন, হৃদয় আহমেদ ও ফেরদৌস আলমের পক্ষে এই উকিলি নোটিশ প্রেরণ করেছেন।

সাতদিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী মো. সাখওয়াত হোসেন।

নোটিশে তিনি বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে (ডাকসু) বলা হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ। ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের ইতিহাস, ছয় দফা দাবি, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, '৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টি এই সবকিছুই হয়েছিল ডাকসুর নেতৃত্বে। বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পরও ডাকসু তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে এবং এরশাদের সামরিক শাসনের পতন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার শাসনের পতনেও ডাকসুর ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।'

ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে ওঠে এবং পরিচালনার দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। ডাকসু জাতীয় জীবনে যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই সবকিছু বিবেচনায় এনে অতিদ্রুত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা দরকার বলেও উল্খে করা হয় নোটিশে।

ডাকসুর অচলাবস্থার কারণে নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মেধার উপযুক্ত সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং সৃজনশীল ছাত্ররা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রেরণকারী বাধ্য হবেন।

এসএস