এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতি
দেশে এখন
0

কয়েকবছর ধরেই দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণের খরচ বেড়েছে। গত ডিসেম্বরে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। রাজনৈতিক অস্থিরতায় টানা ৯ মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আরও বেশি।

সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আগামী এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, যার ফল মিলবে জুনে।’

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটা ম্যাগনিফাই করে বলছে দাম বেড়ে গেছে, বিস্কুটের দাম বেড়ে গেছে। বিস্কুট আমরা ২০০ টাকার উপরে হলে বলেছি। আমাদের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছি। আমি ভ্যাটের ব্যাপারে বাজেট রিভাইস করব। আর যখন বাজেট হবে তখন পুরোপুরি কম্প্রিহেন্সিভভাবে হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমার ভ্যাটের কতগুলো এক্সেম্পশন থেকে বের হয়ে আসা। কারণ বহুলোক বহুদিন ধরে অনেক এক্সেম্পশন পেয়ে আসছে। আমি আর একে উৎসাহিত করব না। এর মধ্যে দুই একটা পণ্য কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে। যার জন্য লোকজনের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব সেটা লাঘব করার।’

অর্থ উপদেষ্টা জানান, প্রাক বাজেটে ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে। অর্থের প্রবাহ কম থাকলেও অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি অব্যাহত রাখা হবে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপাতত আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি যত তাড়াতাড়ি যতটা সম্ভব কমানো, একইসঙ্গে লোকজনের আয়ের উৎসটা দেখা হচ্ছে। অতি প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ আমরা কোনোদিন কমতে দিবো না। যার মধ্যে চাল একটা, ডাল অর্থাৎ মসুর ডাল টেম্পোরারি এছাড়া সয়াবিন আরো গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বেশ কিছু অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। আলোচনায় বিদেশ থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাল আমদানির অনুমোদনসহ মসুর ডাল এবং সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।

এএম