বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজে আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি) সেন্টার ফর গর্ভানেন্স স্টাডিজ আয়োজন করে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন সংলাপের। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় এবি পার্টির সভাপতি মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশ গঠনে আরেকটা বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতে হবে। আর সংস্কার কাজ খুবই ইতিবাচক বলছেন জোনায়েদ সাকি। বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, নির্বাচন ঠিক করে সংস্কার করতে হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, আবু সাঈদ খান, মাসুদ কামাল তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন, শেখ হাসিনার পতনে সব রাজনৈতিক দল এক থাকলেও এখন বিভক্তি চলে আসছে। নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলেন সাংবাদিকরা।
সিপিডির প্রধান নির্বাহী অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিগত ১৫ বছরে প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে অর্থনীতির ক্ষয় হয়েছে। জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, সবাই স্ববিরোধী হয়ে নিজেরা সংকুচিত হয়েছি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল তার কারণ ছিল অর্থনীতি। প্রথমে আন্দোলন ছিল চাকরি ক্ষেত্রে অর্থাৎ কর্মসংস্থানে কোটা না থাকে। এই যে উন্নয়ন সেটা কিন্তু ফাঁপা ছিল যা কর্মসংস্থার সৃষ্টি করতে পারছিল না।’
নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্তারা গুরুতর অপরাধ করলে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তিনটা কমিশন তাদের কোনো দায়বদ্ধ ছিল না। তার অন্যায় করেছে অন্যায় করে পার পেয়ে গিয়েছে। তাই দায়বদ্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। সব ক্ষমতা যখন এক হাতে থাকে তখন সেটা ভয়ানক হয়ে উঠে।’
সংস্কার শেষ করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়ার ওপর জোর দেন বক্তারা। তারা বলেন, এখনো ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মানুষ বের হতে পারেনি।