'রাজনৈতিক দল গঠন ও পদত্যাগ নিয়ে এখনো কোনো ভাবনা নেই'

দেশে এখন
0

রাজনৈতিক দল গঠন ও পদত্যাগ নিয়ে এখনো কোনো ভাবনা নেই। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম কোন উৎস থেকে সংবাদ প্রকাশ করেছে সেটি সুস্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এদিকে, ফ্যাসিজম কায়েমকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতির ময়দান। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে চলছে নানা গুঞ্জন।

সংবাদে উঠে আসে, দল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আর আগামী জুন মাসে পদত্যাগ করতে পারেন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তবে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা। আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জানান, আপাতত পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। কোন উৎস থেকে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সুস্পষ্ট নয় বলেও জানান তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এইটা আমার নজরে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি তবে পত্রিকা আসলে কোন উৎস থেকে করেছে তা পরিষ্কার করে বলেনি। আর এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয় নাই। এই রকম যদি হয় সেটা আমরা নিজেরাই বলবো। যেহেতু উৎসটা তারা পরিষ্কার করেনি তাই তাদের উচিত ছিল আরেকটু দায়িত্বশীল হয়ে প্রচার করা।’

দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েমকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা। প্রতিহিংসার রাজনীতি নয় বরং জুলাই হত্যাকাণ্ডের সুবিচারের দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, একই সাথে এইটা আইনগত সিদ্ধান্ত না একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমি বা ছাত্রদের জায়গা থেকে ছাত্ররাও বলেছে যে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যেভাবে ফ্যাসিজম সৃষ্টি করেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা করেছে। তারপরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদের ব্যানারে রাজনীতি করার সুযোগ বাংলাদেশে থাকা উচিত না। সেটা আইনগত ব্যবস্থা কী হবে, রাজনৈতিক ব্যবস্থা কি হবে তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পাশাপাশি এটাও বলেছি কোন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করা। আমরা রি-কাউন্সিলও চাই আবার বিচারও চাই।

এর আগে, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় কিস্তিতে ১২৭ জন সাংবাদিককে সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া ৩০৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

ইএ