এসময় অধ্যাপক কামরুল আহসান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন বিষয়ে কী কী অগ্রগতি ঘটেছে সেসব বিবরণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন।
ইতোমধ্যে গত ১০ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন জাবি উপাচার্য।
অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, '১৯৭১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র নয় বার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রায় ৩৩ বছর ধরে প্ল্যাটফর্মটি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।'
এছাড়া তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ও গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং প্রথম বর্ষের ভর্তি ফর্ম ফি কমানো হয়েছে বলেও অধ্যাপক কামরুল আহসান জানান।
জাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে গত জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রফেসর ইউনূস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাগত অগ্রগতিতেও সন্তোষ জানান।
জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'যদি আপনারা চান, তাহলে জাকসু নির্বাচন আয়োজন করুন। নির্বাচনটি আপনাদের নেতৃত্বে আয়োজন করুন।'
এসময় অধ্যাপক কামরুল আহসান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
তিনি বলেন, 'আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ লাখ টাকা প্রদান করেছে।'
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও অধ্যাপক সোহেল আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রবসহ আরও অনেকে।