চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটে নেই শ্রমিকদের চিরচেনা হাঁকডাক বা পণ্য উঠা নামার ব্যস্ততা। কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল করেন নৌ শ্রমিকরা। দাবি জানান, এমভি বাখেরায় নিহত ৭ শ্রমিকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের।
অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের ২৫টি মাদার ভ্যাসেলে খালাসের অপেক্ষায় আছে ৫ লাখ টনের বেশি খোলা পণ্য। গন্তব্যে যেতে পারছে না ১ লাখ টনের বেশি পণ্য বোঝায়ই ৩৫টি লাইটার জাহাজ। এছাড়া খালি পড়ে আছে বিডব্লিউটিসিসি থেকে সিরিয়াল নেওয়া ৬০টি জাহাজ। এতে বড় জাহাজগুলোর প্রতিটির দিনপ্রতি ১০-১৫ হাজার ডলার ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে পণ্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা।
এদিকে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি জানান নৌযান শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নবী আলম বলেন, ‘দুই দিন ধরে সব কাজ থেমে রয়েছে। আমাদের এখানে অন্তত ২ হাজার শ্রমিকের কাজ করছে না। দ্রুত এটি ফয়সালা করে আমাদের কাজ চালু করার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক।’
যশোরেও অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতিতে আটকে আছে বিভিন্ন পণ্যবাহী তিন শতাধিক জাহাজ। বন্ধ রয়েছে বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রমও। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শত শত ট্রাক চালক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে স্থবির সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরও। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল, পণ্য ওঠা নামাসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম। এতে বন্ধ রয়েছে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল, সারসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ।
অন্যদিকে মোংলা বন্দরে আগে থেকে আসা ১৩টি জাহাজ থেকে ধীরগতিতে পণ্য খালাস কার্যক্রম চললেও। নতুন করে বন্দরে আসছে না কোনো জাহাজ। এর আগে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি শুরু করেন নৌ শ্রমিকরা।