তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে আজ বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত পাঠানোর অনুরোধ সংক্রান্ত একটি নোট ভারবেল আমরা পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’ নোট ভার্বেল হল তৃতীয় ব্যক্তির স্বাক্ষরবিহীন একটি কূটনৈতিক বার্তা।
এর আগে আজ (সোমবার) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চায় ঢাকা। বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ভারতকে নোট ভারবেল পাঠিয়েছি।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার’ জন্য শেখ হাসিনা, প্রাক্তন মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এর আগে গত সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে। এবং এর আওতায় শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।—এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডে