১৯৪১ ভারতের কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন হাসান আরিফ। শিক্ষাজীবন শেষ করে আইন পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৬৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে। পরে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। ১৯৭০ সালে ঢাকায় সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সাংবিধানিক বিরোধ, ব্যাংকিং, ইন্স্যুরেন্স, রাজস্ব ও কর-সংক্রান্ত আইন সহায়তায় তার বিশেষ দক্ষতা ছিল।
জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনামলের প্রায় পুরো সময় তিনি সরকারের অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিয়োগ পান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।
২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের প্রধান ও মুখ্য আইন পরামর্শকের পদে ছিলেন তিনি। পরে, ২০০৮ সালের এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আইন পেশায় জড়িত থাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই আইনজীবী।
এছাড়া তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল বিভিন্ন মামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী হিসেবেও আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন।
সবশেষ, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আবার শপথ নেন তিনি। প্রথমে দায়িত্ব পান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে। পরে রদবদল হয়ে তার দায়িত্বে ছিলো বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার।
বর্ণাঢ্য জীবন শেষে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন অনন্ত পথের দিকে। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক ও আইন অঙ্গণে বইছে শোক।