২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান দমাতে সব থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ। গুলির আঘাতে পঙ্গু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
তারপরও পিছপা হয়নি ছাত্র জনতা। সব ভয় আর বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে গেছে। পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের। দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সরকার পতনের পর দুই দফা পরিবর্তন হয় ডিএমপি কমিশনার। দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী সংবাদ সম্মেলন করে জুলাই আগস্টের গণ-হত্যার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।
শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘যে সকল ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। তাদের আত্মার মাগফিরাত করি। ওই আন্দোলনে ডিএমপি পুলিশ পেশাদারিত্বর বাহিরে গিয়ে যে কাজ করেছে তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।’
আওয়ামী লীগ আমলে রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রায় ১ লাখ পুলিশ অফিসার নিয়োগ পেয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৫ আগস্টের আগের ঘটনা কেন্দ্র করে কোন মামলা বাণিজ্য হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জুলাই আগস্টের ঘটনার পর পুলিশ যেভাবে নিষ্ক্রিয় হয়েছে, সেটা কাটিয়ে উঠতে শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে যখন পুলিশ কাজের বাহিরে চলে যায় তখন ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কি অবস্থা দাঁড়ায়।’
এদিকে খুলনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক থানা থেকে হাতিয়ার লুট হয়েছে। তবে অভিযানের পরেও আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা উদ্ধার করতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সাধারণ পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নির্ধারিত পোশাক পড়তে হবে।’
এর আগে জুলাই গণহত্যার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শকও ক্ষমা চেয়ে নতুন ভাবে পুলিশবাহিনী গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছিলেন।