হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা পোদ্দারবাড়ি থেকে মহিশাখোলা পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় তিন কোটি টাকা।
সেসময় এলজিইডি জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় এই কাজ পায় মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজ। তবে, সড়কের জন্য ৩৯ লাখ টাকার মাটি কেনার বরাদ্দ দেয়া হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কৃষকদের তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেয় ঠিকাদার হানিফ আলী।
এছাড়া, সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে সড়কের জন্য তৈরি গাইড ওয়াল। আর রাস্তার জন্য ফেলা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া। বারবার এলজিইডির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই, বলছেন স্থানীয়রা।
তবে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো ত্রুটি থাকলেও তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিকগঞ্জের এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলম বলেন, ‘মহিশাখোলা রাস্তার কাজের বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু অবজারভেশন এসেছে। কোনো ত্রুটি ও মালামালের সমস্যা থাকলে আমরা তা সমাধানের ব্যবস্থা করে দেবো। একইসঙ্গে মাটি কাটার বিষয় যেটা এসেছে, ঠিকাদার তা আংশিক সংশোধন করেছে, বাকিটাও নিশ্চিত করা হবে।’
চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সড়কের নির্মাণ কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জুন মাসে। তবে কাজের মেয়াদ পার হলেও শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ।