দেশে এখন
0

ক্রিসমাস ক্যারল-আলোকসজ্জায় দেশে দেশে উদযাপন শুরু

ক্রিসমাস ক্যারল আর আলোকসজ্জার মধ্যদিয়ে দেশে দেশে শুরু হলো খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিনের মৌসুম। শুরু হয়ো ক্রিসমাসের আলোকসজ্জার আয়োজন চলবে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আলোর আয়োজনে বড়দিন মৌসুমকে বরণ করা ছাড়াও জার্মান ও মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশে ছিল ব্যতিক্রমী আয়োজন। তবে বড়দিন ঘিরে দ্বিতীয় বছরের মতো আয়োজনের ছিটেফোঁটা নেই যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান পুণ্যভূমি বেথলেহেমে।

হাজার হাজার এলইডি লাইটের আলোতে ঝলমল করে উঠলো ক্রিসমাস ট্রি। এভাবেই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিনের মাস ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু হলো মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়াতে। রাজধানী লুবিয়ানা হয়ে ওঠে আলোর খেলার মঞ্চ। যা দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ।

২৫ ডিসিম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ঘিরে এভাবেই বড়দিন উৎসবের মৌসুম শুরু করেছেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের আইকনিক গ্র্যান্ড প্লেসেও জ্বলছে বাহারি রঙিন আলো। রীতি অনুযায়ী প্রতিটি দেশেই ক্রিসমাসের এই আলোকসজ্জার আয়োজন চলবে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মনোমুগ্ধকর ও চোখ ধাঁধানো আলোর খেলার পাশাপাশি বড়দিন মৌসুমকে বরণ করে নিতে দেশে দেশে ছিল ব্যতিক্রমী আয়োজন। এর মধ্যে নজর কেড়েছে, মাইনাস দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে সান্তা ক্লজের টুপি পড়ে বরফ পানিতে জার্মানের একদল সাঁতারুর আনন্দঘন সময়।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘বন্ধুদের সাথে দেখা করতে এবং এক কাপ কফি পান করতে এখানে আসা। ক্রিসমাস মৌসুমের শুরুতে প্রত্যেকেই একটি দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছি। এখানে আসতে পেরে আমি অনেক খুশি।’

এদিকে বিশাল বেলুন সঙ্গে নিয়ে কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে মেক্সিকো সিটির প্রধান সড়কে ক্রিসমাস মৌসুমকে বরণ করেছেন মেক্সিকানরা। যা তাদের কাছে ঐতিহাসিকভাবে বোলো ফেস্ট নামে পরিচিত। এই আয়োজনে রঙিন বেলুনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যানিমেটেড চরিত্র।

দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘এটি বহু বছর ধরে হয়ে আসছে। এই দিনটিতে ক্রিসমাস পোশাকের চেয়ে বোলো ফেস্টের পোশাক পড়ার জন্য সবাই অপেক্ষায় থাকে।’

বড়দিন মৌসুম শুরু হতে না হতেই দেশে দেশে যখন আনন্দ-উচ্ছাসে মাতামাতি তখন আরও একবার অন্ধকারে ডুবে আছে যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান বেথলেহেম। বড়দিন ঘিরে দ্বিতীয় বছরের মতো আয়োজনের ছিটেফোটাও নেই অধিকৃত পশ্চিমতীরের এই শহরটিতে। পর্যটকরা ফিলিস্তিনি শহর থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে বহু বাসিন্দাও এ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন।

ইএ