দেশে এখন
0

‘ভুয়া লিস্ট তৈরি করে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমান করা হয়েছিল’

সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হলে প্রমাণসহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের নিখুঁত তালিকা তৈরি জটিল প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন আহত ও শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকেই। এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্তান ও অভিভাবক সম্মেলন থেকে সরকারের প্রতি বেশকিছু দিকনির্দেশনা এসেছে।


এভাবেই জুলাই অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের নিপীড়ন তুলে ধরে সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছেন আহতরা। শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্তান অভিভাবক সম্মেলনে জোরালোভাবে উঠে আসে আহত ও শহীদদের পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বের কথা।

সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, হাজার কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক বাঁচানো গেলে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব কেন রাষ্ট্র নেবে না।

তিনি বলেন, ‘আহতদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব একে নিতে হবে, ওকে নিতে হবে এটা তো কোনো কথা নয়। রাষ্ট্র কেন সে দায়িত্ব নেবে না?’

ড. মঈন খান, ‘যে ব্যাংকগুলো লুটপাট হয়ে গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে ২২ হাজার কোটি টাকা সংস্থান করবে। সেখানে আজকে কেন আমাদের দাবি জানাতে হচ্ছে?’

সম্মেলনের সভাপতি ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, একাত্তরের অসমাপ্ত কাজের ধারাবাহিকতা চব্বিশ। জনগণের চাওয়া বাস্তবায়নে সরকারকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অসাধারণ প্রতিরোধ দেখেছি, একইসময়ে।’

চার মাস পেরোলেও আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও শহীদের নিখুঁত তালিকা প্রণয়নে এখনো কার্যক্রম চলমান জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদি। এসময় ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে বিভাজন না করার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘ভুয়া লিস্ট তৈরি করে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমান করা হয়েছিল। সেই জিনিসটা যেন না হয়ে সেটা আমরা যেমন দেখবো, তোমরা যারা আছো, তোমাদেরকে আমাদের সাহায্য করতে হবে যেন ভুয়া তালিকা তৈরি না হয়। কিন্তু হওয়ার একটা সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাই।’

পরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় জুলাইয়ের বীরত্ব গাঁথা তুলে ধরেন শিল্পীরা।

এএইচ