আজ (বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড প্রোফাইল থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
সারজিস লেখেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে গতকাল (বুধবার, ২৭ নভেম্বর) রাতেই অন্য গাড়িতে করে ঢাকা ব্যাক করলাম ৷ পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম ৷ এখন শুনছি সকালে (আজ) কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পিছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে!’
তিনি লিখেন, ‘এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত? কয়জন হাসনাত মারবেন? মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা? একজনকে যখন বুলেটের আঘাতে লাশ বানিয়েছেন, তখন সেই জায়গায় অন্যজন দাঁড়িয়ে গিয়েছে! কিন্তু পিছু হটেনি।’
ফেসবুকে দেয়া সারজিস আলমের পোস্ট।
সারজিস আরও লিখেন, ‘ঠিক একইভাবে এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত৷ এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না ৷ এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয় ৷’
পোস্টের সবশেষ বাক্যে তিনি লিখেন, ‘আমরা মরতে শিখে গিয়েছি ৷ উই আর ওপেনড টু বি কিলড।’
আজ বেলা ১২টার পর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে পেছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিয়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে হাসনাতকে হত্যার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এটি করা হচ্ছে বলে দাবি করছে সংগঠনটি।
এর আগে গতকাল অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহর দুর্ঘটনার শিকার হয়। গতকালও সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ট্রাক চাপায় তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।