চেম্বার আদালতের বিচারপতি এই আদেশ দেন।প্যাডেল চালিত রিকশা চালকদের গড়া ‘বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিক্সা মালিক ঐক্যজোট’র পক্ষ থেকে করা এক রিটের শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে রুলসহ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের এই আদেশের পরই আন্দোলন করছে ইঞ্জিনচালিত রিকশা চালকরা। রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে।
ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকদের জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করে এক মাসের জন্য হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টকে এ বিষয়ে দেয়া রুলের নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) তিনদিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সানজিদ সিদ্দিকী ও তাহসিনা মৃদু।
হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর মহাখালী, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, মিরপুর, গাবতলী, ডেমরাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন রিকশাচালকরা।
হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আজ (সোমবার, ২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
এর আগে ২০২৩ সালে ১৫ মে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পরেই সড়কে আন্দোলনে নামে রিকশাচালকরা।
আন্দোলনের ৫ দিন পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সড়ক ছাড়া রিকশা চলাচলের অনুমতি দিলেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে চলাচল শুরু হয় মূল সড়কে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তা আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহন এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।